Monday, October 19, 2009

সব কটা জানালা ফেলে দাও না

কালকে খোমাখাতায় উবুন্টু নিয়া মজা করতে গিয়ে মনে হইল, যাই এইটা নিয়া আরেকটু মজা করি গিয়া। ভিন্ন সময়ে ভিন্ন জানালার আগমনের সাথে সাথে আমার মানসিক অবস্থা নিয়া লেখা শুরু করব বলেই ঠিক করলাম। আমার দেখা প্রথম জানালা ছিল ৩.১১, সাল ১৯৯৫। সম্ভবত খুদেনরম কোম্পানির অন্যতম বিশ্বস্ত কার্যকরি অনুক্রম (অপারেটিং সিস্টেম, কারো মাথায় ভালো বাংলা আসলে একটু সাহায্য করতে পারেন)। যাক, ডসে কম্পু চালু কইরা উইন লিখে জানালা দিয়ে উঁকি মারতে ব্যাপক মজা পাইতাম। আর তারচেয়েও মজা ছিল ডসের খেলাগুলা, পারস্যের যুবরাজ, প্যারানয়েড এবং অন্যান্য। তখন কিভাবে কম্পু চালায় তাই জানতাম না, কাজেই চালু করে ফাইল ঘাটতাম আর ই-এক্স-ই, কম, ব্যাট ওয়ালা ফাইল পাইলেই চালানোর চেষ্টা করতাম। এক পর্যায়ে শিখলাম, কম্পুর অনেক ফাইল দরকারি না, কাজেই মুছা শুরু করলাম, তখনও জানতাম না যে, কমান্ড.কম ছাড়া কম্পু চলে না। মুছতে চায় না, আমিও কি কম গাড়ল, তখন নরটন কমান্ডার ব্যবহার করতাম, গায়ের জোরে মুছে দিলাম, আর তো চলে না।

এভাবে চলতে থাকে জানাল দিয়ে উকিঝুকি, হঠাৎ করেই শুনি, নতুন মাল আসতেছে, নাম জানালা ৯৫, এটা নাকি দেখা মাত্র মাথা বন বন করে ঘুরবে। আমার প্রথম কম্পু কিনেছিলাম আমার বড় ভাইয়ের বন্ধুর মামার দোকান থেকে, কিছু হলেই গিয়ে তার ঘাড়ে চড়ে বসতাম, মামা এটা দেন, সেটা দেন, প্রথমবার যখন ইন্দুর দৌড়ানি বন্ধ করল, নিয়ে দৌড় মামার কাছে, তিনি হেসে দেখিয়ে দিলেন, কিভাবে খুলে পরিষ্কার করতে হয়, বিরক্ত করেছি অনেক, তবে আমার হাতে সময় থাকলেই গিয়ে উনার জোড়াতালির ঘরে গিয়ে বসে থাকতাম, কিভাবে কার সাথে কোনটা লাগায়, কোনটার কি নাম, কি কাজ, হেন হেন কতকিছু। কাজেই জানালা ৯৫ যখন এসে হাজির হল, আমার না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না, ২ প্যাকেট ফ্লপি কিনে বান্দা হাজির, বললাম, মামা আমি কপি করে নিব, আপনার কষ্ট করতে হবে না, কাজেই ১৫ ফ্লপিতে জানালা কপি করে নিয়ে পড়িমড়ি দৌড়।

বাসায় গিয়ে সে কি উত্তেজনা, ভাত আর নামে না গলা দিয়ে, কতক্ষনে জানালা লাগাবো আমার বাক্সে। যাক, প্রায় ১ঘন্টা ঘুটুর মুটুর করে অনেক ঢাক গুড়গুড় করে বাক্সে জানালা লাগাইলাম, তারপরে আসল, "জানালা ৯৫ এখন এই কম্পুতে চলবে প্রথমবারের মত"। দেখে এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল আমার শিড়দারা দিয়ে। তারপরেই শুরু হল নানা রকমের যন্ত্রনা, শব্দ আসে না, মনিটর কেমন করে, কত পদের ঝাকাঝাকি যে দেখলাম। তারপরে বুঝলাম, আচ্ছা অটোএক্সেক.ব্যাট এ কিছু লিখে রাখলে তা এমনিতেই শুরুতে চলতে থাকে। ড্রাইভার এর জন্যে উইন.আই-এন-আই এ কিভাবে কি লিখতে হয়। প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখছি। আর সেই সাথে চলছে নগ্ন মহিলাদের ছবি সংগ্রহের যুদ্ধ, খালি খবর পেলেই হল, অমুকের কাছে ১৫টা ছবি আছে, ফ্লপির পোটলা নিয়ে দৌড়। আর এক ফ্লপিতে না আটলে পিকে-জিপ দিয়ে কমান্ড লিখে ছোট ভাগে ভাগ করে ফাইল আনার পন্থাও তখন শিখে গেছি। আমার এই সব কুকর্মের সাথী ছিল আমার দোস্ত ইমরান, সে বেচারাও এখন মারিকায় থাকে, বাফালোতে। একদিন খবর পেলাম, শরিফের কাছে নাকি এত ছবি আছে, যে দেখে শেষ করা সম্ভব না, বিকালে স্যারের কাছে পড়তে যাবার কথা, কিন্তু তা কি করে হয়, আমরা দুজনে ছুটলাম, শরিফের বাসায়, আমার ২০টা আর ইমরানের ২০টা ফ্লপি নিয়ে, ৩৩টা লাগল মনে হয়, তারপর সেই ছবি নিয়ে এসে সব বন্ধুকে ছবি দেখার দাওয়াত দেবার মধুর দিনগুলোর কথা মনে পড়লে দাত বিটকেল হাসি বের হয়ে যায়।

এভাবে কেটে যেতে থাকে ১৯৯৬, আমি তো প্রবল উৎসাহে সবাইকে দেখাই, আমার কম্পুতে জানালা ৯৫ আছে, ততদিনে হার্ডডিস্ক খুলে দৌড়ানোর সাহস অর্জন করেছি, ফ্লপি আর সহ্য হয় না, যখন তখন বাতিল হয়ে যায়। আমার এই অতি উৎসাহ দেখে আমার ফুফাতো ভাই বললেন, আরে মিয়া, এইসব দেখে লাফাইও না, এগুলা সব বিল কাগুর চুরির ফসল। এখানে থেকে সেখান থেকে চুরি করে জোড়াতালির ফসল এই জানালা ৭। আর কোন খেলা চলতে চলতে হঠাৎ আটকে যেত, মেজাজটাও খারাপ হত তখন সেই রকম। ততদিনে 'মরটাল কমব্যাট - ২' এর ভুতে ধরেছে আমাকে আর আমার আরেক ফুফাতো ভাইকে। সারাদিনই মার মার কাট কাট চলছে। এমন পিটানো পিটাইলাম যে কি বলব, কিন্তু আমার ভাইটাও কম যায় না, আমাকে পেদিয়ে ছাদে তোলার অবস্থা করছে, আর আমাদের এইন পিটাপিটির ফলাফল সহ্য করে যাচ্ছিল কিবোর্ড খানা, এক পর্যায়ে সে বেঁকে বসল। কিন্তু তখন কিবোর্ডের অনেক দাম, আম্মাকে বললেই টাকা না দিয়ে পেদিয়ে আমাদের দুজনকেই চাঙ্গে উঠাবেন, কাজেই দুজনেই মাথা ঘামাতে লাগলাম, কি বলে আম্মার মন নরম করা যায়। একবার ভাবলাম, বলব, ভাইরাস ধরে কিবোর্ড নষ্ট হয়ে গেছে, পরে ভাবলাম, আম্মা যদি কাউকে জিজ্ঞেস করে, তবে পিটিয়ে ছাদে না তুলে পিঠের চামড়া তুলে মরিচ দেবার সম্ভাবনাই বেশি। এর মাঝে বাজারে আসল জানালা ৯৭।

এবার হার্ডডিস্ক নিয়ে হাজির, "মামা, ৯৭ দেন" ব্যাপক জরুরি। মামা আমাকে তাড়াতাড়ি বিদায় করতে পারলেই মনে হয় বেঁচে যান, তাই বিনাবাক্য ব্যয়ে আমাকে দেখিয়ে দিলেন, অমুক কম্পুতে ৯৭ আছে, কপি করে নাও। আমিও পটাপট কপি করে আবার দে-দৌড়। ৯৭ লাগিয়ে আম্মাকে গিয়ে বললাম, "আসলে কম্পুতে নতুন 'নরমতার' লাগানোর পর থেকে কিবোর্ড আর কাজ করছে না", উনি বললেন, "ব্যাটা নচ্ছাড়, নতুন জিনিষ ভরেছিস কেন?" আমি মুখ কাচুমাচু করে বললাম, আসলে আগামী ২ মাস পর থেকে জানালা ৯৫ আর কাজ করবে না। উনি বললেন, "হুমম", যা কিবোর্ড কিনে নিয়ে আয়। যাক, নতুন কিবোর্ড কিনে এনে পণ করি যে, আর খেলবো না, কিসের কি? এক বন্ধুর কাছে খবর পেলাম, মরটাল কমব্যাট - ৩ এসেছে, সেখানে নাকি মারলে ছাদ ভেঙ্গে উপর তালায় উঠে যায়। সেই সাথে আরো কতকিছু। ততদিনে গেম খেলার পাশাপাশি খুদেনরমের অফিস, কোরেল ড্র, লোটাস নিয়ে খোচাখুচি চলছে ব্যাপক হারে। এর মাঝে খবর পেলাম, আমার আরেক দোস্ত সালমান (নটরডেমের সবাই চেনার কথা) নাকি কি এক ফাইল বানিয়েছে, যেটা চালালেই গিয়ে কম্পু চালু হবার স্থানে গিয়ে আস্তানা গাড়ে, গিয়ে আরেকজনের কাছ থেকে সেই জিনিষও আমদানী করলাম। হাতে ফ্লপি নিয়ে তৈরি হয়ে চালু করলাম দোস্তের সেই জিনিষ, কম্পু নিজেই বন্ধ হয়ে পুনরায় চালু হল, কিন্তু, এক্কেবারে "খাস কাম" শুরু হয়ে গেল প্রথমেই, দেখে হাসতে হাসতে আমার চোখে পানি চলে আসলো।

১৯৯৮ এ এসে আমি তো ৯৭ নিয়ে বেশ কাহিল, আগারে বাগারে খালি আটকে যায়, খুদে নরমের অফিসের সাথে কি যেন একটা গ্যান্জাম ছিল, সেটা বন্ধ করলেই কম্পু আটকে বসে থাকত হা করে। মোটামুটি এ সময়ে এসে আমি এদের উপর মহা বিরক্ত। আর তখন বাপ-মায়ের কিছু কাজ করে দিতাম নিয়মিত, আর তাদের সামনে গালিও দিতে পারতাম না বিল কাগুকে শান্তি মত। আর কম্পুও বেশ পুরান হয়ে গেছে, আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল 486DX2 দিয়ে। ততদিনে পেন্টিয়াম এসে পড়েছে বাজারে, কিন্তু, আম্মাকে বুঝাতে পারছি না যে কম্পু পাল্টানো দরকার। যাক, শেষমেষ আমার বড়ভাই বুঝাতে পারলেন কম্পু পাল্টানো দরকার, তারপরে কিনলাম, পি-২ ৩৫০। আমার ২য় কম্পুটা এখনও আছে। এর সাথে দোকান থেকে দিয়ে দিল বেটারা জানলা ৯৮। আমি তেমন কোন পার্থক্যই করতে পারলাম না, প্রথমের ছবিটা ছাড়া। ছোটখাট কিছু পরিবর্তন ছিল ৯৮ এ, তবে চলছিল ভালই, ৯৮ সালেই প্রথম পেলাম অন্তর্জালের সংযোগ। কিছুই বুঝি না, খুচিয়ে খুচিয়ে শিখতে লাগলাম, কিভাবে বার্তা পাঠায়, কিভাবে খুজতে হয় কিছু। ইয়াহু ছিল আমার প্রথম সার্চ ইন্জিন। তবে মিনিট হিসাবে বিল বিধায় বেশিক্ষন থাকতে পারি না সেখানে। ইউডোরা দিয়ে বার্তা ঠিক করে রাখি, ঢুকি, পাঠাই, বের হয়ে আসি। সংযোগ ছিল বি-ও-এল এর। খুব কমই আমাকে ২ বার ডায়াল করতে হয়েছে সংযোগের জন্যে। আর মেডিকেলে পড়াশুনা শুরু হয়ে গেছে, অন্যদিকে ফুটবল বিশ্বকাপ, আর প্রেমিকা, এই ফলে জানালা থেকে বেশ দুরেই সরে গেলাম যেন।

এর মাঝে মনে হয় বিল কাগুর গোপন স্থানে নানাবিধ অসুখ হয়েছিল, সারাদিন মনে হয় তার গা চুলকাতো, তাই সে বের করল মিলেনিয়াম এডিশনটা। কিন্তু আমি তার খবর পর্যন্ত পেলাম না, ভাগ্যিস, পাইনি। আর আমার সহপাঠিরা কেউ এ নিয়ে চিন্তিত না, তারা কম্পু চালাতে খুব একটা আগ্রহী না। তবে একজনের কাছে শুনলাম, এমন এক জিনিষ এই এম-ই, যে চালালে গান্ধিজিও রাম দা হাতে কোপাতে উদ্বুদ্ধ হবেন, আর দাঁত ভ্যাটকায়ে বলবেন, কোপাকুপি পরম ধর্ম। যাক, আমি এর পর হাতে পেলাম জানালা ২০০০। সম্ভবত এটা খুদেনরমদের বানানো একমাত্র ভালো জিনিষ। তার কারনটাও সম্ভবত এটা NT এর উপর ভিত্তি করে বানানো, সেজন্যে। এটা লাগানোর পর থেকে তো মহাবিপদের আবির্ভাব হল, কোন জিনিষ চলতে চায় না, কাউকে চিনতে চায় না, তবে একবার চিনিয়ে দিলে চুপ করে ঘর করতে থাকে। অন্তর্জাল থেকে ড্রাইভার নামিয়ে কাজ চালাতে লাগলাম। কিছু খেলাও ঝামেলা করত, কিন্তু তখন আমি খেলার উপরেও বেশ বিরক্ত। নিড ফর স্পিড ২ খেলতাম, বাসায় ২টা কম্পু তখন, নেটওয়ার্ক করা। ফিফা ৯৮ সহ আরো অনেক খেলা ২ কম্পুতে খেলি, মজাও অন্যরকম। এর মাঝে এন-এফ-এস ৩ আসল বাজারে, সে তো চলতেই চায় না, তখন জানলাম, এজিপিতে জোর না থাকলে, ব্যাটা মানুষের মাজায় জোর না থাকার মত হয়। আমি তো মহা হতাশ। সব খেলা খেলতে পারি না। এ কি জ্বালা, এই সব ভুং ভাং করতে করতে প্রথম বড় পরীক্ষা শেষ করলাম জীবনের।

পরীক্ষা শেষে আমার এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় আসল "ছবি" দেখবে বলে। বুঝতেই পারছেন, কিসের ছবি, যাক, সে নাহয় দেখল, তার কাছে জানলাম, নতুন জিনিষ আসতেছে, তার নাম জানালা এক্সপি। আমি বললাম তাকে আমার ৯৫-৯৭-৯৮ নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। সে বলল, আরে না, এটা খুব ভালো হবে, ড্রাইভার সংক্রান্ত জটিলতা দুর হবে পুরোপুরি এক্সপিতে। আমি যদি চাই, তার কাছে বেটা এডিশন আছে। আমি বললাম, বেটা বেটি বুড়া বুড়ি ছুড়া ছুড়ি বুঝি না, ভাই, মাফ চাই। কিন্তু আমার এই গোয়ার্তুমি বেশিদিন টিকল না। বছর ঘুরতেই এক্সপি হোমো করে ফেললাম, আমার মনে হয় না, আমি বিল কাগুরে কোন ক্ষতি করেছি, কিন্তু, এই জানালাটা এতই খারাপ ছিল যে কি বলব! নিজেই নিজেকে গাল পাড়তাম, আর কি বা করার আছে? কোন নিশ্চয়তা ছিল না, কম্পু চালু হবে কি হবে না, নানা ভাবে ক্র্যাক করলাম, কতবার যে ধুয়ে মুছে করলাম এক্সপি হোম, তার ইয়ত্তা নাই। দেখা গেল সব চলতেছে, তারপর হুট করে একদিন খুব জরুরী একটা কাজ পরে গেছে, হয়ত আমার বাবার একটা ক্লাস আছে কালকে, তার স্লাইড বানাতে হবে, এক্সপি বাবাজি ঐদিকে ভং ধরে বসে আছেন। কিছুই আসে না মনিটরের স্ক্রিনে। এভাবে মাস খানেক চলে গেল, হাতে পেলাম এক্সপি প্রফেশনাল। এর পরে যতদিন ঢাকায় ছিলাম, এমন একটা যন্ত্রনা করেনি কম্পু। আর আমিও কোন ঝুঁকি নিতাম না, ৩ মাস পরপর ফরম্যাট করে নতুন করে এক্সপি প্রো করে রাখতাম, যাতে করে কম্পুও টিপটপ থাকে।

এভাবে ভগিজগি করতে করতে আমার জীবন এগিয়ে গেল বেশ খানিকটা। ২০০৩ এ ডাক্তার হলাম, একা থেকে দোকা হলাম, ডিভিতে ভিসা পাইল বউ, ২০০৪ এ ইন্টার্নি শেষ করলাম, ২০০৫ এ এফসিপিএস পাশ করলাম, এই সময়ে বিল কাগুর জানালা এক্সপি খুব একটা ঝামেলা করে নাই। সে কোন প্রকারের কাশি দিলেই আমি বাজুকা দিয়া গুলি করতাম। ধর তক্তা, মারো পেরেক মার্কা অবস্থা, প্রচন্ড ব্যস্ত কাটতেছিল দিনকাল, সকালে কাজে যাই, দুপুরে আসি, বিকালে যাই, আসতে আসতে রাত ১২টা। ২০০৫ এর মাঝামাঝি চলে আসলাম বিল কাগুর দেশে। মারিকা আসলাম, কিন্তু আমার কম্পু আনতে পারি নাই একটাও, এত বই যে কি বলব, সব সুটকেস ওজন সীমার উপরে। যাক, এখানে এসে পিসি কিনলাম, আমি যে কত বড় ভোদাই, তার প্রমাণ স্বরুপ এইচ-পি এর পিসি কিনলাম, অনেক পয়সা পাতি খরচ করে, সাথে আসল এক্সপি হোম, কারন প্রো এর জন্যে ৯৯$ চায়, সব কোম্পানিই চায়। আর সাথে আনা প্রো লোডাইলাম না, কারন সেটা জেনুইন চেকে আটকায় যায়। যাক, দাত মুখ চাইপা চালাইতে থাকলাম হোম। আসল কপি হওয়ার কারনে সম্ভবত দেড় বছর বেশ ভালই চলল। এর মাঝে বাড়িওয়ালার পোলার কাছ থিকা টরেন্ট করা শিখলাম। তারপরে সেখান থেকে আস্তে আস্তে প্রো নামাইলাম, কিন্তু বিধিবাম, কাম করে না, সবই হয়, তারপর জেনুইন টেস্ট টপকাইতে পারে না। মহা যন্ত্রনা, এর মাঝে মাথায় এক কুবুদ্ধি আইল, এইচ-পির সাপোর্টে গিয়া কইলাম, আমার এক্সপি করা লাগব, হার্ড ডিস্ক ক্র্যাশ করসে, এখন কি করা? তারা কইল, পাঠায় দিতাসি এক কপি এক্সপি হোম এডিশন। সেইটা আবার যতখুশি করা যায়, খালি শেষে আমার কম্পুর গায়ে দেওয়া সিরিইয়াল্টা দিতে হয়। নানা ভাবে চেষ্টা কইরাও যখন প্রো এর অরিজিনাল কপি হাতাইতে পারলাম না, তখন আবার এইচ-পি রে কইলাম, আসলে আমার প্রো ছিল, আমারে প্রো পাঠাও, পাঠায় দিল, কিন্তু ব্যাটারা কত বড় বদমাইশ, সেটা ইনস্টল করতে গেলে বলে, তোমার কম্পুর জন্যে না এক্সপির এই ভার্ষন।

যাক, আমিও হোম নিয়া সুখে দুঃখে দিন পার করতেসিলাম, এর মাঝে কোল কম্পু কিনা ফালাইলাম, সেইখানে আইসা হাজির হইল বস্তা প্রিমিয়াম। কেবলে নতুন বাইর হইসে, ভাব সাবই অন্যরকম। যদিও কারো কাছে ভালো কিছু শুনি নাই, তাও আশায় বুক বাধলাম যে, এইবার নিশ্চই তারা ভালো কিসু বানাইসে বিল কাগু আর খুদেনরম। চালু করতেই দেখি বেশ ভুং ভাং, বেশ ঝকঝকে চকচকে আইকন, এবং মেনু গুলাও বেশ ভালো। কিন্তু এক্সপি চালাইতে অনভ্যস্ত, কেমন যেন খটকা লাগে সবকিছুতে। সবচেয়ে বিরক্ত হইলাম তাদের সবকিছুতে অনুমতি চাওয়ার বাড়াবাড়ি নিয়ে। আর রুট ড্রাইভে কিসু ভরতে চাইলে সরাসরি না করে দেয়। আমার কম্পু, আমার যেখানে ইচ্ছা, সেখানে খুশি ফাইল কপি করুম, তাতে তোর বাপের কি? কিন্তু দেখা গেল, তাতে বিল কাগুর নানা অঙ্গে দহন হয়, ফলাফল যা দাড়াইল, আমার যেখানে যেভাবে খুশি, কাজ করার স্বাধীনতা খর্ব হইল। সেইখানেই শেষ না, কিসু ইন্সটলাইতে গেলেই হালার মাথায় মাল উঠে, স্ক্রিন কালো হয়ে যার, কথা বার্তা বন্ধ করে দেয়। আর বুট করতে লাগে ৩ মিনিট, বন্ধ করতে গেলেও জ্বালা, ঘুমাইতে যাইতে লাগে ১ মিনিটের বেশি। আর ঝুইলা যায় অহরহ।

এইসব যন্ত্রনা কতক্ষন সহ্য হয় কন দেখি? কিন্তু কোল কম্পুতে আইসে বিধায় দাতে দাত চাইপা কাম করতে লাগলাম। ভাবলাম কয়দিন পরে সব সহ্য হইয়া যাইব। কিন্তু এযে বস্তা নয়, আসলে এতো বিষ্ঠা, খাস বিল কাগুর বিষ্ঠা, সহ্য হয় তো বদ হজম হয়। আরো কিছু জিনিষ লক্ষ করলাম যে, ২ দিন অন্তর অন্তর আপডেট আসে, কি নিয়া এত ভুজুং ভাজুং আল্লাহই জানেন। আমার মনে আছে। ৩ মাসে আপডেট আসছিল মনে হয় প্রায় ৮৬টার মতন, বস্তা আর অফিস মিলায়। আরো ভাবছিলাম, নতুন সিস্টেম, এই খানে তো ভাইরাস ধরব না। কিন্তু এত সুখ কি আমার কপালে আছে? ১ মাস যাইতেই দেখি বস্তা থিকা নানা রকমের যন্ত্রনা বাইর হইতে থাকে। আর এক্সপিতে ছোট ছোট সুবিধা ছিল ফাইল এক্সপ্লোরারে, সে সব সুবিধাও বিদায় করে দিসে। আর অন্যদিকে ব্যাপক হারে ড়্যাম খাইতেসে নিজের চাকচিক্য জাহির করার জন্যে। যখনই মাথা গরম হইত, তখনই মনে হইত মুইছা এক্সপি করি, তারপর কইতাম, থাক, আসল জিনিষ দিসে, এইটারে ফালায় ২ লম্বরি জিনিষ ভইরা কয়দিন শান্তিতে থাকুম?

২০০৭ এর মাঝামাঝি আর পারলাম না, ফরম্যাট কইরা এক্সপি করলাম, কিন্তু শালারা কত বড় বদমাইশ, কোন কিছুর ড্রাইভার পায় না। যেইটাই খুজি, কয়, তোমার কোম্পানিতে যাও, অর্থাৎ, এইচপি তে যাও, কিন্তু সেখানে বলে আমার ল্যাপির জন্যে ড্রাইভার শুধু আছে বস্তার জন্যে। আর গরমও যা হইত আমার ল্যাপি, মাঝে মাঝে মনে হইত, সামারা এর কোন ভাই বোন না হইলে এইচপির বিরুদ্ধে মামলা করুম। কাজেই ফিরা যাবার পথ বন্ধ, তাই আগের কম্পুতে ভুল কইরাও বস্তা করলাম না, দিনে দিনে বস্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হইতে থাকল। এক দোস্ত কইল লিনাক্সের কথা, কিন্তু হে আরো কইল, গেম গুলান চালাইবার পারবি না, তাই সে পথেও যাইতে পারলাম না। বইয়া বইয়া আঙ্গুল কামরাই, বিল কাগুরে গাইলাই। এর মাজেহ মাথায় আইল, মনে হয় বস্তার অন্যান্য ভার্ষন গুলা বোধহয় ভালো। টরেন্ট কইরা সব নামাইলাম, ব্যবসা, আল্টিমেট, বেসিক আরো কত কিছু। একে একে সবগুলাই চালাইলাম, সবচেয়ে বেশি দিন আমার ল্যাপিতে ছিল মনে হয় বস্তা বেসিক। এইটাতে আবর্জনা সবচেয়ে কম। এর মাঝে এক্সপি লোডায় বইল সারভিস প্যাক ৩ আমার ডেস্কটপে। তারপর তো আমার মাথার চুল ছেড়া ছাড়া আর কিসু করার উপায় থাকল না। আওয়াজ আসে না, ওয়াই-ফাই কাম করে না, এজিপিও ঝামেলা করে। আমার এক আইটি দোস্তরে জিগাইলাম, ঘটনা কি? হে কইল, আবার কি, এইটা দিয়া সবাইরে যন্ত্রনা দেবার ব্যবস্থা, যাতে কইরা সবাই বাধ্য হয় বস্তার মাঝে মাথা ঢুকাইতে। আমি কি কম খাটাশ! ফরম্যাট মাইরা লাইভ আপডেট বন্ধ কইরা দিলাম। যাই আসে, কাটা চামচ দিয়া খোচায় দেখি, এইডা ভরা ঠিক হইব কিনা? তারপরে লোডাই। এইভাবে কতদিন, একদিন আমার পত্নীদেবী ভুল কইরা হ্যাঁ বইলা দিল, আর সেই ধনন্তরি এসপি-৩ ঢুইকা বইসা থাকল। বেচারি সহজ সরল মানুষ, এইটুকু জানে যে, আপডেট তো মানুষের ঝামেলা কমানোর আর কম্পুর উন্নতির জন্যেই বানানো। নাহলে কি দরকার, ২ দিন পরপর এসব সরবরাহ করার! এখন চিন্তা করতে গিয়া মাথায় একটা প্রশ্ন আইল, আসলেই, বিল কাগুরে জিগাইতে মন চায়, উনি আসলে কি চান? মানুষ শান্তিতে থাকুক, নাকি বেহুদা অশান্তিতে থাকুক, তারপর দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে সাধারন মানুষ কাস্টমার সার্ভিসে কলাইবো আর তারা সার্ভিস দেবার নামে পয়সা লইব।

এইবার আর পারলাম না, বস্তা বেসিক ভরলাম ডেস্কটপে, তারপর দেখলাম, জানালা ৭ এর বেটা আইসে বাজারে, পুরানা অভিজ্ঞতা থিকা জানি, চকচক করলে সোনা হয় না, কাজেই ঐ পথেই পা বাড়াইলাম না। বস্তায় মাথা ভইরা দিন গুনতে লাগলাম, হয়ত কোন একদিন আসবে সেই সুদিন, যেদিন বিল কাগু ও-এস এর নামে ডিভিডিতে করে কাগু বেচবে না। কিন্তু বস্তায় মাল ভরলে সেটা যে কত ভারী হয় তা না ভরলে বুঝবেন কেমনে? এই ২০০৯ এ আইসা বস্তাও কুত পারতে শুরু করল। কম্পু বুটাইতে চায় না, ধীরে চলে, হ্যাঙ্গ করে, কিসু কপি পেস্ট মারতে গেলে কাপাকাপি করে, নেটওয়ার্কে ফাইল শেয়ার করতে গেলেও নানা যন্ত্রনা। এইদিকে ফরম্যাট মারতে পারতেসি না, বউ এর জিনিষ পত্র দিয়া ল্যাপি ভর্তি। আর লাইভ আপডেট তো আসতেছেই, বস্তা নতুন করে ভরার পর কম করেও ঘন্টা খানেক সে নেয় শুধু সময়ের সাথে তাল মিলাইতে। মহা বিরক্তিকর। আর আপডেট চলতে চলতে ভিড়িম করে সে রিস্টার্ট মারে, তারপর ভুলে যায় যে এ দুনিয়াতে আছে আমার কম্পু।

এর মাঝে ঘটল আরেক ঘটনা, আমার শালী ফোন করে জানাল যে, কালকে একটা ভৌতিক ঘটনা ঘটেছে, আমি বললাম, ধুর মাইয়া, দুনিয়াতে ভুত বইলা কিছু নাই। সে আমাকে বলে, না, আসলেই, কালকে রাত ৩টায় আমার কম্পু নিজে নিজে চালু হয়ে দৌড়ানো শুরু করসে, সে বেচারী একা থাকে, ভীষন ভয় পাইসে। আমি তারপর নিজের ল্যাপিতে খোচাখুচি করে বের করলাম, লাইভ আপডেট এর সময় রাত ৩টা, সারাদিন বন্ধ থাকলে সে রাত ৩টায় মাথা চাড়া দিয়া উঠবে সপ্তায় একদিন। আমি তো হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হবার জোগার। তাকে কিছু বললাম না। পরের আবার যখন সে আমাকে জিজ্ঞাস করল, কিসু পাইসি কিনা, আমি বললাম, এই ঘটনা কি ঠিক ৩টায় ঘটসে নাকি ১-২ মিনিট আগে পড়ে? সে তো ঘাবড়ায় গেসে, বলে, কেন? আমিও কম বদ নাকি? আমি বললাম, না মানে, রাত ৩ টায় তো উইচিং আওয়ার। আসলে তা না, মাঝ রাতের পর যে কোন সময়ে এটা হইতে পারে। হালকা চাপা ঝাড়লাম, সেই বেচারী তো ভয়ে ব্যাটারি খুলে ল্যাপি ব্যাগে ভরে ঘুমাইতে লাগল। মাস খানেক পরে প্রজাপতি আমার গোমর ফাঁস করে দিল জানতে পেরে।

সচলে এর মাঝে জানতে পারলাম যে লিনাক্স বা উবুন্টু এখন অনেক আগায়া গেছে, কিন্তু তাও ভরসা পাইতেছিলাম না। আর গেম গুলাও আরেকটা কারন ছিল আমার পিছুটানের। একদিন টরেন্টে দেখলাম, জানালা ৭ আল্টিমেট, দেখে বিশ্বাস হইতে চাইল না। নামায়া রাখলাম, কিন্তু ভরলাম না। বিল কাগুর কাছ থিকা ভালো কিছু আইতে পারে, এটা বিশ্বাস করা সম্ভব না আমার পক্ষে। এভাবে কাজ চালাইতেছিলাম বস্তা দিয়া, ২খান কম্পুতেই বস্তা, চারদিকে বস্তা, বস্তাই বস্তা। এর মাজেহ শাহান আসল ঢাকা থেকে, এসে কিনল ডেল স্টুডিও, তারেও দিল ডেল বস্তা ধরাইয়া। সে বেচারাও আমার সাথে সুর মিলাইয়া গাল পাড়তে থাকল বস্তারে। ২ সপ্তাহ আগে আমার ল্যাপিতে বস্তার তলা ফাইটা গেল, কাজেই ভিতরের সব জিনিষ বাহির হইয়া আমারে বিয়াফক গিয়ান্জামে বাঝায়া দিল। নিরুপায় হইয়া আমি জানালা ৭ করলাম, এইটা করার পর থিকা বেশ ভালই আছি, এখন পর্যন্ত কোন ভেজাল করে নাই। হয়ত বিল কাগু রাস্তায় আসছে, বস্তার ১৪ বার কইরা অনুমতি চাইবার ব্যাপারটা দুর হইসে। আপনে কম্পুর অ্যাডমিন, তারপরেও যখন কয়, আপনার অনুমতি নাই, তখন কেমন লাগে মেজাজটা। এগুলা ছাড়াও ছোটখাট আরো অনেক জিনিষে ৭ অনেক ভাবে উন্নত। তবে যে ব্যাপারটা বলতে চাই, সেটা হল, হ্যাকার ভাইরা জিন্দাবাদ। আগের সবগুলা বাইর হইত আসল জিনিষ বাইর হইবার পরে, ৭ বাইর হইসে রিলিজ তারিখেরও ২ মাস আগে।

তবে, এত কথা বলার কারন হইল, শাহান মিয়ার দেওয়া উবুন্টু। সব কিছু মাগনা, চিন্তা করলেই যেন কেমন লাগে। চাইলে মাগনা মাগনা বাসায়ও পাঠায়া দেয়, ফলে শাহান মিয়া মনের আনন্দে বিলি বন্টন করতেছে, এক কপি আমার ভাগ্যেও জুটল। হাতে যখন অযাচিত ভাবে এসেই পড়ল, তখন শামিম ভাইয়ের লেখাগুলা মাথার মধ্যে খুটমুট শুরু করে দিল, ফলাফল খুবই সহজ, দিলাম, ঢুকায় রমে। সিডি কইল, ডেডিকেট করে ইন্সটল করতে চাইলে বুট কর, আমি কইলাম, ঠিকাছে। দিলাম বুট কইরা। ইন্সটল করলাম, তারপর নিজে নিজে সব খুইজা নিল, একবারও কইল না, ঐ সফদার, ডেরাইবার পাই না তো। ঢুকানির সময় মনে হয় কিসু ভুলভাল টিপসিলাম, তাই হার্ড ড্রাইভে পার্টিশন নিয়া হালকা পাতলা ঘাপলা হইল। কিন্তু সেই ৯৫ থিকা বিল কাগুর লগে যুদ্ধ কইরা আইতাসি, এত অল্পে ডরাই নাকি আমি? পুরাপুরি শুরু থিকা যাত্রা শুরু করলাম, ফরম্যাট কইরা ফালাইলাম, জানালা ৭ তারপর উবুন্টু ৯.০৪. এক অভুতপুর্ব জিনিষ এই উবুন্টু। ২ দিন ধইরা এইটা নিয়া খুন্টুমুন্টু করলাম। তারপর খবর পাইলাম, অভ্রও আছে উবুন্টুর জন্যে, আর কে পায় আমারে। ফোরামে অভ্র ভরিবার তরিকা দেইখা ডরাইছিলাম একটু, কি কয় টার্মিনালে যাও, এইডা লেখ, ঐটা পড়, একটু ভয়ে ভয়ে করলাম, তারপরে হর হর করে কি কি সব কইল। আমি পাত্তা দিলাম না। লগ আউট করলাম, তারপর আবার লগ ইন করলাম, দেখি এক কান্চি দিয়া কিবোর্ডের আইকন উঁকি দিতাছে। একটা ক্লিক মারতেই তুমুল বেগে বাঙলা লেখা বাইর হইতে লাগল। এর জন্যে মেহেদি ভাইরে আবার একবার ধন্যবাদ দিতে চাই। সাইফুর রহমান বাংলা কইতে পারে না, তারে কিনা দেওয়া হয় একুশে পদক, আমার হিসাবে এই পদক প্রতি বছর দেওয়া উচিত মেহেদি ভাইরে।

উবুন্টু বুট হবার পর ৫ মিনিট লাগল ৮৪ টা জিনিষ আপডেট হইতে, কোন প্রোগ্রাম ভরতে চাইলেও তা ১-২ মিনিটের মাজেহই সমাধা হয়, বেহুদা, করবার পারবা, না, এদিক তাকাইবা না, তার লগে কথা কইবা না মার্কা কোন কথা কইল না। বুট হইতে সময় লাগে ৩০ সেকেন্ড, শীত নিদ্রায় যাইতে সময় লাগে ১৫ সেকেন্ড। উবুন্টুর গুনাবলি লেখার দরকার নাই, সেইটা শামিম ভাই বহুত বার কইসেন, কাজেই বস্তা বা জানালার ঝিক মিক দেইখা ভাই বোনেরা ধরা খাইয়েন না। আর উবুন্টু বুট করা মাত্র দৌড়ায়, বস্তা বা জানালার মত চালু হবার পর "আমাদের দেশের বড় কর্তার মত বিশেষ কামে ব্যস্ত আছি" মার্কা কথা কয় না। যেই মাত্র স্ক্রিন আইল, তখন থিকা রেডি আগুনে ঝাপায়া পড়ার লাইগা। বিল কাগুর জানালাগুলা সস্তা বারবণিতার সস্তা হাসির মতনই, পয়সা দিয়া কিনেন বা চোরাই কইরা উপভোগ করেন না কেন, দিন শেষে তারা আপনারে অসুস্থ করবেই। কাজেই সবাই পণ করেন, আইজ থিকা সবাই উবুন্টু ব্যবহার করবেন, সেই সাথে সবার আগে অভ্র লোডাইবেন, অভ্রের মত দারুন "নরমতার" মনে হয় না কাছাকাছি সময়ে বাইর হইসে!! তাছাড়া শুনলাম অভ্রের নতুন সংখ্যা আসিতেছে। আর চলেন সবাই বিল কাগুরে গিয়া কই, কম তো জানালা বাইর করলেন না, পয়সাও কম নিলেন না। লাভ কি হইল, ভালো কিসুই তো দিবার পারলেন না। কাজেই আমার কইতে মন চায়, "সব কটা জানালা ফেলে দাও না, আমি গাইব গাইব উবুন্টুরই গান"

No comments:

Post a Comment