Friday, May 22, 2009

মানসিন প্রতিরক্ষা - ১

ঠিক করলাম, খুব রসকষহীন কিছু লিখবো। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নিজেকে আরো ভালো ভাবে বুঝতে চান যারা তাদের কিছু অস্ত্র বা যন্ত্রের সন্ধান দেয়া। টপিকের নাম দেখে কেউ ভেবে বসেন না যে আমি কোন মানসিক রোগের ডাক্তার বা মনোবিজ্ঞানী। আমি আর ১০ জনার মত সাধারন একজন মানুষ। অন্যদের জ্ঞানী নই, বানান বিষেশজ্ঞও নই, আমার জ্ঞানও খুব সীমিত। আমার এই লেখার চেষ্টা করার জন্য আশাকরি বিদ্বানগন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার বাংলার অবস্থা বেশ খারাপ আর যে বিষয়ে লিখতে যাচ্ছি, তা বাংলায় লেখা খুব বেশী কঠিন যেহেতু আমার শব্দের ভান্ডার খুবই দুর্বল।

মানুষের জন্মের পর থেকেই তার যাবতীয় মানসিক চিন্তাভাবনা ৩ টি পদ্ধতিতে, এর কোনটাই আমার আবিস্কার না, ফ্রয়েডকে ধরতে পারেন। আমি শুধু পুরো বেপারটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। পদ্ধতি ৩ টি হল Id (ইড), Ego (ইগো), Super Ego (সুপার ইগো). Id জন্ম হতেই থাকে, আমাদের যাবতীয় চাহিদা এই দলের অন্তর্ভুক্ত, যেমন খাদ্যের প্রয়োজন এবং এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজন, মজার কথা হল এটা আমাদের এবং অন্যান্য পশুদেরও সমানভাবে প্রকাশ পায়। এরপর আসে ইগো, যা আমাদের বিস্লেষন ক্ষমতা এবং যুক্তিতর্কের সাথে চিন্তাভাবনা করতে শিখায়, সহজ ভাবে ভাষার বহিপ্রকাশ কিন্তু পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো ভাবে প্রকাশ। সুপারইগো হোলো আমাদের সামাজিকতা, মরাল গুনাবলী।

আমি আজকে ইগো কিভাবে কাজ করে, তা নিয়ে কিছু বলব। মনের ভেতরে যখন কোন দ্বন্দের সৃষ্টি হয়, তখন মন নিজে থেকেই কিছু পন্থার মাধ্যমে তা গ্রহনযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এর কোনটাই ইচ্ছাকৃত নয়, ঠিক করলাম, খুব রসকষহীন কিছু লিখবো। টপিকের নাম দেখে কেউ ভেবে বসেন না যে আমি কোন মানসিক রোগের ডাক্তার বা মনোবিজ্ঞানী। আমি আর ১০ জনার মত সাধারন একজন মানুষ। অন্যদের জ্ঞানী নই, বানান বিষেশজ্ঞও নই, আমার জ্ঞানও খুব সীমিত। আমার এই লেখার চেষ্টা করার জন্য আশাকরি বিদ্বানগন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার বাংলার অবস্থা বেশ খারাপ আর যে বিষয়ে লিখতে যাচ্ছি, তা বাংলায় লেখা খুব বেশী কঠিন যেহেতু আমার শব্দের ভান্ডার খুবই দুর্বল।


ডিফেন্স এর ৪টি গোত্র আছে, ১।অপ্রাপ্তবয়ষ্ক (immature) ২। নাটকীয় (narcissistic) ৩।দুষ্চিন্তা (anxiety) ৪। প্রাপ্তবয়ষ্ক (mature) ডিফেন্স। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন, কোন বহি:প্রকাশ কিভাবে দেখা হয়, কেউ মনে করেন না, ১নং শুধু বাচ্চারা করবে, প্রকাশটাকে গ্রেড করলে তা বাচ্চাদের আচরনের মত লাগবে, তাই এমন নাম। ১নং দিয়েই শুরু করি, কি বলেন? সমস্যা হল বাংলায় এর প্রতিশব্দ করলে অর্থ থিক থাকে না, তাই দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

১। immature defense:
ক) Blocking - হঠাৎ করে কোন একটা জিনিষ মনে পড়বে না। যেমন পরীক্ষা দিতে গিয়ে উত্তর মনে না আসা। মন যখন confrontation এর মুখোমুখি হয়, তখন সে সহজ রাস্তা বেছে নেয়, মনে না পড়াটা অনেক সহজ, এতে কোন দ্বন্দের সৃষ্টি হয় না। দেখা গেল, ডেটিং এ গিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে রমনায় ঘুরছেন, মামা চাচা কারো সাথে দেখা হয়ে গেল, উনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথীর নাম কি, আপনে মনে করতে পারছেন না, এটা আরেকটা উদাহরন।

খ) regression - বয়ষের তুলনায় বাচ্চাদের মত ব্যভার করা। কোন বয়ষ্ক মানুষ যদি বাচ্চাডের মত খিল খিল কোরে হাসেন, সেটা এই বাবাজীর হাতে ধরাশায়ী হয়ে করেন।

গ) Somatization - মানসিক চাপের মুখে নানা রকম শারিরীক উপসর্গের সৃষ্টি হওয়া। তেমন পরীক্ষা দিতে গিয়ে মাথা বেথা হওয়া এই বাবজীর কারনে হয়। এছাড়া যেমন কানে পিনপিন শব্দ শুনা, হঠাৎ করে মাথা ঘুরে উঠা, বমি বমি ভাব হওয়াও একই কারনে ঘটে।

ঘ) introjection - আপনি যাকে মনে প্রানে মানেন বা worship করেন, বা যার মত হতে চান তার মত করে কথা বলা, তার মত করে কাপড় পরা এই বাবাজীর কারনে হয়। যেমন বসের মত করে কথা বলা বা লেকচারারের প্রফেসর সুলভ আচরন এই কারনে দেখা যায়।



২) Narcissistic defense:

ক) Projection - নিজের ইচ্ছা অন্যের নামে প্রকাশ করা। যেমন বাবা বাইরে যাবে, বাচ্চা মেয়ে তার পুতুল বাবাকে দেখিয়ে বলছে, ডলি (পুতুল) তোমাকে মিস করবে, যেখানে ডলির কোন অনুভুতি নেই, মেয়েটি তাঁর অনুভুতি ডলির নামে প্রকাশ করছে।

খ) Denial - যখন খুব কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয় মানুষ, তখন সে সত্যকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। যেমন, হার্টএটাকের রুগী বেচে যাবার পর আবার পুরানো জীবনে ফিরে যায় এবং নির্লীপ্তভাবে আবার সিগারেট খাওয়া শুরু করে, সে মনে করে সে আসলে সুস্থ, ডাক্তারই ভুল।

গ) Splitting - পুরা পৃথিবীকে ২ ভাগে ভাগ করে ফেলেন, ১ দল খুব ভাল, অন্য দল খুব খারাপ। তাদের কাছে উত্তর মেরু দক্ষিন মেরুর মাঝে কেউ নেই অথবা ইশ্বর এবং শয়তান। প্রেমের প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ splitting এর ধারাশায়ী হয় বলে মনে করা হয়, এজন্য প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার সব দোষ মধু লাগে, একইভাবে প্রেমিকার কাছে প্রেমিকের সব ভালো। যখন যাকে ভালো লাগবে, তখন তার সব ভালো। যেমন যে ডাক্তারকে ভালো লাগবে, তাকে গিয়ে বলবে, আপনি অসাধ্য সাধন করেছেন, আগের বেটা তো কবিরাজ ছিল (এমন না যে ডাক্তারের নামে কবিরাজের অভাব আছে, হা হা হা)

খুব বেশী লম্বা হয়ে যাচ্ছে, তাই আজকের মত বিদায়। দেখা যাক, আদতেও কারো জানার ইচ্ছা আছে কিনা, নাহলে শুধু শুধু টাইপ কোরে আংগুল ক্ষয় করে কি লাভ?

কি দাদা দিদিরা, চলবে?

সাইফ
saifmanna@gmail.com

1 comment:

  1. কি ও মিয়া গাধাদের জন্য বাংলায় ইউ. এস. এম. এল. ই (USMLE In bangla for dummies) টাইপের বই লিখতাছেন নাকি!

    ReplyDelete