Saturday, May 2, 2009

বেদ-বেদিনির খেলা

আমার এই গল্প বী্র্যবান পশ্চিম বাঙালী বেদ ভাই আর অংগশায়িনী হিটলারের দেশি বেদিনী আপাকে নিয়া। আমি কিভাবে অবগত হইলাম এই কাহিনীর, তাহার কারন খুব ই সোজা, উনারা আমার নিচতলার প্রতিবেশী। এই ধরনের কুতসিৎ লিখা দিবার জন্য প্রথমেই মাফ চাহিয়া নিতেছি। এই লিখা কোন সুস্থ মানুষের জন্য নহে, আর অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তো অবশ্যি হারাম। দিবো কি দিবো না, ইহা নিয়াও আমার বস এর সহিত অনেক আলোচনা, শেষ মেস ঠিক করিলাম যে, যা আছে কপালে, খন্ডাইবে কে, লেখা দিয়া দেই। আমার এই সাধু চলিতের সংমিশ্রনের জন্য আমি মটেও লজ্জিত নই, কারণ পুরা ঘটনাই কুমিশ্রন স্ংক্রান্ত। লেখিতে তো পারিনা কচু, তারমধ্যে বস আমার রোজ তাগাদা দিতেছেন, ওই মিয়া, সারাদিন খালি অন্যের ব্লগে ঘুরাঘুরি কর আর কমেন্ট কর, লজ্জা করে না? এতই যদি ব্লগ ঘুরিবার সখ, কমেন্ট করিবার সখ, তাহইলে নিজে একটা নামাইয়া দেখাওনা, তোমাকে বলিতে বলিতে আমার তো বাল পাকিলো, জটাও ধরিয়া গেল, তাও তো লেখা দিতেছ না, ওইদিকে দেখোনা, তুলিরেখা রোজ একখান করিয়া নামাইতেছে, তুমি এইফাকে কি ছিরিতেছ? তাই আমি লজ্জার মাথা খাইয়া আজকে বসিয়াছি, লিখিবো কিছু একটা। লেখা প্রকাশ হউক আর না হউক।

আমরা বাস্ করি এক এপারট্‌মেন্টে, একঘর থেকে অন্যঘরে আয়াজ শুনিতে পাওয়া যায়না। কিন্তু উপর নিচ একদম পরিস্কার শুনিতে পাওয়া যায়। একদিন আমার কন্যা হঠাৎ ভোর পৌনে ৫টায় ঘুম ভাঙ্গিয়া উঠিয়া বলে মুত্রত্যাগ করিবে, বিধি বাম, আমাকে উঠিয়া তাহাকে নিয়া যাইতে হইল মুত্রখানায়, আমার ঘুম তখন আধাখানা অবস্থায় চলিতেছে, হঠাৎ শুনি চাপা গোঙ্গানীর আওয়াজ, উহহ!!! আহহ!!আমি তো ভাবিলাম, শিওর কোন সিরিয়াল কিলার মনে হয় নিচতলার হিটলারের নাতিকে আক্রমন করিয়াছে, ৯১১ কল করিতে হইবে, তার জোগার করিতে যাইব, হঠাৎ শুনি খিল খিল হাসি, বুঝিলাম, এই বেদেনি মাতারি রাত বিরাতে মজা মারিতেছে, আর আমি অর্‌ধঘুমে তা স্বপ্ন দেখিতেছি, কিন্তু, এত সুখ কি আমার কপালে সয়, হঠাৎ ফ্লাশ হইবার শব্দে আমার টনক নড়িল, মানে আমি জাগিয়া আছি, স্বপ্ন নয়। যাহাই হউক, ভাবিলাম, মজা মারিতেছে, নাহয় তা উপর হইতে শোনাও জাইতেছে, কিন্তু উহাতো ৫-১০ মিনিট এ শেষ হইবেক, তখন নাহয় আমি আবার শান্তির ঘুম দিবেক। এর একটু পরে দেখি বাঙলায় ১জন প্রশ্ন করতেছে, কোন অবস্থানে যাবে সে এখন। তখন ই বুঝিলাম, আহা, ইহাতো বংগবীর বেদ ভাই চির উন্নত মমশির হইয়াছেন।

কিন্তুক কিসের কি, ১০ মিনিট গিয়া ১৫ মিনিট গত হইল, আমার কন্যা ইতিমধ্যে আবার ঘুমাইয়া পড়িয়াছে, কিন্তু বাংলার বাঘ তো থামে না, উনি তো সমান তালে একশন চালাইয়া জাইতেছেন, আর অই হিটলারের নাত্নী সমান তালে ডাক পারিতেছে, তাহাকে পুরবে দেখিয়া তো মনে হয় নাই, এই কন্যা এত ভাবে উহ! আহ! করিতে পারেন। যাহাই হউক, ছোট কাহিনী টানিবো না, ইহার মধ্যে ৩০ মিনিট কাল অতিবাহিত হইয়াছে, কিন্তু বাঙ্গালী বীর তখন উত্তেজনার আরেকধাপ উর্ধে উঠিয়া গিয়াছেন, তখন পুরুষ কন্ঠ ও যোগ হইয়াছে, আমি মনে মনে বলি, সাবাষ, বেদ ভাই, তোমাকে দিয়া জর্মন জাতির কাছে আমাদের মুখ রক্ষা হইবেক। কিছুক্ষন পরে বুঝিলাম, আসল ঘটনার তো সুত্রপাত হইতেসে কেবলে। তখন খাট গিয়া দেওয়ালে বারি খাওয়া শুরু হইল, আমি তো ভাব্লাম, আজিকে আর উপায় নাই, বেদ ভাইয়ের ঠেলাঠেলিতে আজ না বাড়ি ধসিয়া পরে, এর মাঝে তো আরো ২ বার স্থান পরিবর্ত্ন নিয়া বাক্কালাপ হইয়া গিয়াছে, আমি ভাবিলাম, নিচে গিয়া দরজা ধাক্কা দিব কিনা, নাহইলে তো ছাঁদ ধসিয়া আমি কন্যা সহ তাহার চান্দিতেই পতিত হইব।

এইভাবে তো বেদবেদিনির খেলা চলিতে লাগিলো, এই পর্যায়ে আমি ঘড়ি নিয়া গুনিতেছি, আমাদের বীর সন্তান কত স্কোর করিতে পারেন। যখন ৪৫ মিনিট গত হইয়াছে, তখন তো ঈশ্বর ও নামিয়া আসিলেন উহাদিগকের মাঝে। আমি শুনিতে পাইতেছি, “ওহ ইয়া, ওহ গড, ওহ বেবে, কাম অন, ওহ গড” আমার মনে হয়না ঈশ্বর আর সহিতে পারিলেন, উনি তখন বেদ ভাইকে তুমুল শান্তি প্রদান করিয়া নিজে শান্তিতে ঘুমাইতে গেলেন।

3 comments:

  1. গুরু গুরু গুরু!!!--
    খেলা তো সবে শুরু
    অ-বেদ ভাই আর অ-বেদিনী
    লিখেছ তাদের প্রেম কাহিনী
    কে জানত তোমার মাঝে লেখক ছিল সুপ্ত
    নতুন রূপে ধরায় এসেছে শ্রী রসময় গুপ্ত!!!

    ReplyDelete
  2. Saif bhai kothin jinnish...bhalo laglo poray...really aibar 2nd chapter ta likhay falen ;D
    Reezwan

    ReplyDelete
  3. তারেক ভাই,ধন্যবাদ আপনার উত্ত্রেরর জন্য একটা কবিতা আসে, দিবনে এ্কটু পরে।

    রেজওয়ান, ২য় পর্ব মনে হয় না লেখা হবে, আমার নিচতলায় ওই ২ জনের সাথে আরেকজন যোগ হইছে, আবার আওয়াজ না পাওয়া পর্যন্ত লিখি কিভাবে?

    ReplyDelete